Friday, October 3, 2014

Daily Note 2014 10 G

IMF & World Bank - - - - - LINK

আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ঋণের মোহ

1.1) নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ ই স্টিগলিৎজ ও পল ক্রুগম্যানের নেতৃত্বে দুই দশক ধরে বাজার মৌলবাদের বিরুদ্ধে যে বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল, তা এখন ‘বাজার বনাম রাষ্ট্র’ বিতর্ককে ভুল প্রমাণ করে দিচ্ছে।
1.2) "কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় ফিরে এসে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন অনুসরণের পুরোনো ধারা চালু করে দেয় আবার।"
1.3) প্রকৃতপক্ষে, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের ঋণের ‘কন্ডিশনালিটি’র বহর সুপরিকল্পিতভাবে ক্রমেই বিস্তৃত করা হচ্ছে ঋণগ্রহীতা দেশগুলোর তাবৎ নীতি প্রণয়নকে এসব সংস্থার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য।
1.4) আপাতবিচারে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ঋণের সুদের হার কম দেখিয়ে এগুলোকে ‘সফট লোন’ আখ্যা দেওয়া হলেও শর্তের বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় এগুলো প্রায়ই উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশের সরকারি নীতি গ্রহণের সার্বভৌমত্ব খর্বকারী হয়ে থাকে। দুঃখজনক হলো, আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের ঋণের শর্তগুলো সরকার কখনো জনগণকে জানায় না।

1.5) ক্রেডিট দাসত্বের প্রথম পর্যায় =======>>

প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংকের ঋণ পাওয়া গেলেই মহা খুশিতে গদগদ হয়ে তা গ্রহণের যে বদখাসলত প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের সময় পরিলক্ষিত হতো, তা পরিহারের মানসিকতা আমাদের সরকারের নীতিপ্রণেতাদের গড়ে তুলতে হবে। কারণ, আমাদের অর্থনীতি পুরোনো দিনের খয়রাত-নির্ভরতা কাটিয়ে ওঠার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান এখন এ দেশের জিডিপির ২ শতাংশেরও নিচে নেমে গেছে। তথাকথিত ‘সফট লোনের’ নামে একগাদা অপমানজনক শর্তের জালে জাতিকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলার এই সাম্রাজ্যবাদী কৌশল বুঝে-শুনে হজম করার আর প্রয়োজন নেই।

No comments:

Post a Comment