Saturday, August 2, 2014

Daily Note 2014 08 B

1) সুদ ===>>


[كل قرض جرّ نفعا فهو ربا]
‘কুল্লু কার্যিন জাররা নাফ্আন ফাহুআ রিবা।’
অর্থাৎ প্রত্যেক ঋণ, যার মাধ্যমে লাভ উপার্জিত হয়, তা সুদ।


2) CREDIT / LOAN ======>> 

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
“হে বিশ্বাসীগণ! যখন তোমরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ধারে কারবার করবে, তখন তা লিখে রাখবে।” [সূরা বাকারাহ - ২৮২]

3) CREDIT / LOAN ======>> 

নবী (সাঃ) আরো বলেনঃ ‘‘যে কেউ কোনো মুসলিমকে দুই বার ঋণ দেয়, তা সেই অনুযায়ী এক বার সাদাকা করার মত।’’ [ইবনু মাজাহ, সূত্র হাসান,ইরওয়াউল গালীল নং১৩৮৯]
4) বিপদ  =====>> 
নবী (সাঃ) বলেনঃ ‘‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলিম ব্যক্তির দুনিয়াবী বিপদ দূর করবে, আল্লাহ তাআলা তার আখেরাতের বিপদ দূর করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো অভাবীর কষ্ট সহজ করবে, আল্লাহ তার দুনিয়া ও আখেরাতে সহজ করবেন। আল্লাহ বান্দার সাহায্য করেন যতক্ষণে বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্য করে।” [মুসলিম,অধ্যায়ঃ যিকর, দুআ,তাওবাহ ও ইস্তিগফার]

5) পাথরে রুপান্তরিত নবী দুশমনের মূর্তির কাহিনী - - - - @ 2m45s

https://www.youtube.com/watch?v=4obkPf41bD0

6) ঋণ যোগ্য জিনিসাদিঃ

অর্থাৎ কি কি জিনিস ঋণের অন্তর্ভুক্ত, যা ঋণ হিসাবে আদান-প্রদান করা যেতে পারে? এ বিষয়ে ফুকাহাদের মতভেদ বিদ্যমান। তবে নির্ভরযোগ্য মত হচ্ছে, প্রত্যেক এমন বস্তু যা বিক্রয় করা বৈধ, তা ঋণ দেওয়াও বৈধ। [যাদুল্ মুস্তাক্বনা’, হিজাভী/২১২]

7) ঋণের বৈধতাঃ

ঋণ প্রথা বৈধ, যা সুন্নত এবং ইজমা (ঐক্যমত) দ্বারা প্রমাণিত। [মুগনী, ইবনু কুদামাহ,৬/৪২৯]
নবী (সাঃ) একদা এক উষ্ট্রী ধার নেন এবং ফেরত দেওয়ার সময় সেই সমগুণের উষ্ট্রী না পাওয়ায় তার থেকে উত্তম গুণের পুরুষ উট ফেরত দেন এবং বলেনঃ “তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি সে, যে উত্তম ঋণ পরিশোধকারী।’’ [বুখারী ,অধ্যায়,ইস্তিকরায, নং২৩৯০]

8) প্রবৃত্তি ======>> 

ইবনু মাসউদ রাঃ বলেন, ''তোমরা এখন এমন এক সময়ে বাস করছো যখন হাওয়া এলেমের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। কিন্তু যেন রেখ আগামীতে এমন এক সময় আসবে যখন হাওয়ার ( প্রবৃত্তি )  অনুসরণ করবে এলেম''।  LINK

9) Quran =====>>

এরশাদ হচ্ছে:
وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَى آَمَنُوا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَرَكَاتٍ مِنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَلَكِنْ كَذَّبُوا فَأَخَذْنَاهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ ﴿৯৬﴾
আর যদি জনপদসমূহের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে আমি অবশ্যই আসমান ও যমীন থেকে বরকতসমূহ তাদের ওপর খুলে দিতাম; কিন্তু তারা অস্বীকার করল। অতঃপর তারা যা অর্জন করত তার কারণে আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম।

10) Quran ===>>

পবিত্র কুরআনে এরশাদ হচ্ছে:
الَّذِينَ آَمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ أُولَئِكَ لَهُمُ الْأَمْنُ وَهُمْ مُهْتَدُونَ ﴿৮২﴾
যারা ঈমান এনেছে এবং নিজ ঈমানকে যুলমের সাথে মিশ্রিত করেনি, তাদের জন্যেই নিরাপত্তা এবং তারাই হিদায়েতপ্রাপ্ত।

11) ইসলামী অর্থনীতি ====>>>


ইসলামী অর্থনীতি – মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম
ইসলামের অর্থনীতি – ডঃ হাসান জামান
ইসলামী অর্থনীতিতে সরকারের ভূমিকা – শাহ আবদুল হান্নান
ইসলামী সমাজে মজুরের অধিকার – মাওলানা মুহম্মদ আবদুর রহীম
ইসলাম ও আধুনিক অর্থনৈতিক মতবাদ – সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী
Some Aspeets of Islamic Economy – by Dr. M.N. Siddiqi
সুদ ও আধুনিক ব্যাংকিং – ডঃ নেজাতুল্লাহ সিদ্দিকী
Thoughts in Islamic Economics – ব্যুরো অব ইসলামিক ইকনমিক রিসার্চ
ইসলামী অর্থনীতিঃ তত্ত্ব ও প্রয়োগ – ডঃ এম, এ মান্নান
ইসলাম ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ – ডঃ ওমর চাপরা
ইসলামের যাকাত বিধান – ডঃ ইউসূফ কারযাভী
বাংলাদেশের অর্থনীতি – আনিসুর রহমান
Islamic Eocnomics – Dr. Manjur Kahf
Economic Doctrines of Islam – Dr. Afjal Rahman
Bangladesh Economy – A.R. Khan
Bangladesh Economy – A. Ahad

12) আল-কুরআন || উচ্চতর সিলেবাস


১। কুরআন ব্যাখ্যার মূলনীতি – শাহ ওয়ালী উল্লাহ দেহলভী

২। কুরআন গবেষণার মূলনীতি – আমিন আহসান ইসলাহী

৩। কুরআন ও সুন্নাহ-স্থান, কাল প্রেক্ষিত – ডঃ তাহা জাভীর আল-আল ওয়ানী ও ইমাদউদ্দিন খলিল

আল-হাদীস || উচ্চতর সিলেবাস

১। যাদে রাহ – আল্লামা জলীল আহসান নদভী

২। হাদীসে কুদসী – আব্দুস শহীদ নাসিম

৩। আত্তারগীর ওয়াত তারহীব (১ম, ২য় ও ৩য় খন্ড) – হাফেজ ইমাম আবু মুহাম্মদ যাকিউদ্দিন
13) RAMADAN DUA DAY 29/30
LINK

14) খুতবা ====>> 

প্রখ্যাত ফিকহবিদ মাওলানা আবদুল হাই লাখনবী বলেন, আরবি ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় খুতবাদান করা সুন্নাতের পরিপন্থি কাজ। কেননা হিজরী প্রথম শতকে এর কোনো প্রমাণ নেই। অথচ প্রয়োজন তখনো ছিল। প্রায়শ অনারব দেশসমূহ বিজিত হয়েছে বটে, কিন্তু সাহাবা-তাবেঈগণ খুতবার সুন্নাত পদ্ধতিকে পরিবর্তন ও প্রত্যাখান করেননি। কাজেই অনারবি ভাষায় খুতবাদান সুন্নাতে মুতাওয়াতিরার বরখেলাপ বিধায় বিদআত ও মাকরূহ। LINK

15) ঈদের নামাযের জন্য ডাকাডাকি করা:

প্রায় সকল মসজিদে দেখা যায় ঈদের দিন ফজরের নামাযের পর থেকেই লোকদেরকে ঈদের নামাযের জন্য ডাকা হয়। অথচ মুসলিম শরীফের ৮৮৬ নং হাদীসে এসেছে: «أَخْبَرَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْأَنْصَارِيُّ، أَنْ لَا أَذَانَ لِلصَّلَاةِ يَوْمَ الْفِطْرِ، حِينَ يَخْرُجُ الْإِمَامُ، وَلَا بَعْدَ مَا يَخْرُجُ، وَلَا إِقَامَةَ، وَلَا نِدَاءَ، وَلَا شَيْءَ، لَا نِدَاءَ يَوْمَئِذٍ، وَلَا إِقَامَةَ» ঈদের দিন আযান, ইকামত ও ডাকাডাকি কোনো কিছুই নেই। অতএব এটি আমাদের সকলের পরিহার করা উচিত। মূলত এটিও আল্লাহর পক্ষ হতে এক ধরনের পরীক্ষা যে, কারা এই দিনে কোনো রকম ডাকাডাকি ছাড়া ঈদগাতে উপস্থিত হতে পারে। আফসোস! আমরা কোথায় আর সুন্নাত কোথায়?

No comments:

Post a Comment