1) ফিরোজা বেগম ( নজরুল গীতির প্রধান ও সর্বকালের অন্যতম সেরা শিল্পী ) - - -
১৯৪২ সালে ১২ বছর বয়সে বিখ্যাত গ্রামোফোন কোম্পানি থেকে ইসলামী গান নিয়ে তাঁর প্রথম রেকর্ড বের হয়। কিছুদিন পর কমল দাশগুপ্তের তত্ত্বাবধানে উর্দু গানের রেকর্ড হয়। এ রেকর্ডের গান ছিল- 'ম্যায় প্রেম ভরে, প্রীত ভরে শুনাউ' আর 'প্রীত শিখানে আয়া'। নজরুলের গান নিয়ে প্রকাশিত তাঁর প্রথম রেকর্ড বের হয় ১৯৪৯ সালে।1-a) ছোটভাই আসফউদ্দৌলা সম্পর্কে ফিরোজা বেগম ===>
'ও অনেক ভাল গানও গায়। সিএসপি অফিসার হওয়া সত্ত্বেও ভাল শিল্পীও সে।'
1-b) ফিরোজা বেগম ( নজরুল গীতির প্রধান ও সর্বকালের অন্যতম সেরা শিল্পী ) - - -
এক নাগাড়ে ৬৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে সক্রিয় সঙ্গীত সাধনার নজির পৃথিবীতে আর নেই। এজন্য তাঁর নাম অনেক অগেই গিনেস বুকে ওঠা উচিত ছিল। সারাবিশ্ব তিনি পরিভ্রমণ করেছেন নজরুলের গান নিয়ে। একক অনুষ্ঠান করেছেন ৩৮০টির মত।
1-c) নজরুল ইনস্টিটিউট এবং ফিরোজা বেগম ===>>
নজরুল ইনস্টিটিউট নিয়ে তাঁর মনে রয়েছে গভীর এক ক্ষত। নজরুল ইনস্টিটিউট এর জন্ম নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, 'প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একদিন ডেকে পাঠিয়ে আমার ইচ্ছের কথা জানতে চেয়েছিলেন। আমি নিজের স্বাচ্ছন্দ্য নয়, নজরুলের গানের জন্যই কিছু একটা করার ইচ্ছে প্রকাশ করি। তিনি বিস্তারিত ব্যাখ্যাও শোনেন। সেটা কোথায় হবে, কেমনভাবে হবে তাও আমার কাছ থেকে জানেন। আমি চেয়েছিলাম ইনস্টিটিউট হোক পাস্থপথের মুখে। আমি আমার ভাইদের সঙ্গে আলাপ করে তাঁকে প্রকল্পের প্রস্তাবও দিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর অকাল প্রয়াণের জন্য তা কখনোই বাস্তবে রূপায়িত হয়নি। নজরুলের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা আর আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ। তিনি আমাকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন। পরে একই প্রকল্প আমি এরশাদ সাহেবকেও দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কোন উচ্চাবাচ্য করেননি। উপরন্তু আমাকে কবিভবন থেকে উৎখাত করে সেখানে নিজে নজরুল ইনস্টিটিউটের ভিত্তি গড়েন। সেই অনুষ্ঠানে আমাকে ডাকাও হয়নি। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তাঁকে অনুরোধ করেও অনেক কিছু করিয়ে নিতে পারতাম আমি।'
1-d) ফিরোজা বেগম ( নজরুল গীতির প্রধান ও সর্বকালের অন্যতম সেরা শিল্পী ) - - - -
এ প্রশ্ন সঙ্গত দেশে কি তাঁকে যথাযথ সম্মান দিতে পেরেছে? ভারত আর পাকিস্তান মিলিয়ে যেখানে এই কিংবদন্তির রেকর্ডসংখ্যা ১,৬০০, সেখানে বাংলাদেশে হাতেগোনা তিন কি চারটা।
1-e) বাংলা ১৪০০ সালে কলকাতার সাহিত্যিক-শিল্পীদের দেয়া সংবর্ধনা ===>>
সেবার একই বৃন্তে দুটি কুসুম শিরোনামে দুই অসামান্য কণ্ঠমাধুর্যের অধিকারী নজরুল সঙ্গীতে ফিরোজা বেগম এবং রবীন্দ্রসঙ্গীতে সুচিত্রা মিত্রকে সম্মান জানানো হয়।
1-f) পাকিস্তানী রেডিও-তে ফিরোজা বেগমের 'জয় বাংলা' ====>>
১৯৬৮-৬৯ ইসলামাবাদ রেডিওর উদ্বোধন। গান গাইতে হবে ফিরোজা বেগমকে। তাঁকে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু ফিরোজার এক কথা, 'আগে আমি বাংলা গাইব তারপর উর্দু। নইলে যাব না।' তখনকার তথ্যমন্ত্রী খাজা শাহাবুদ্দিন ঐ শর্তেই রাজি। তিনি গাইলেন- 'ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি আমার দেশের মাটি'। সত্তরে দেশ ফুঁসছে আর সে সময় করাচীতে ইএমআই পাকিস্তানে তিনি 'জয়, জয়, জয় বাংলার জয়' আর 'জন্ম আমার ধন্য হল মাগো' এই বাংলা গানগুলো রেকর্ড করেন। 'এই গান গাওয়ার অপরাধে দেশে ফেরার পর একদিন রেডিও স্টেশন থেকে আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল চারটায় আমাকে একটি বন্ধ গাড়িতে করে নিয়ে যায়। কোথায় নেয়া হচ্ছে বুঝতে পারিনি। জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত একটায় আমাকে নামিয়ে দিয়ে যায় বাসায়। আমি তাদের যুক্তি দিয়ে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলাম। তবে গানের মূল রেকর্ড ধ্বংস করে ফেলা হয়। স্বাধীনতার পর অন্য শিল্পী ঐ গান রেকর্ড করেছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে একাধিকবার আমার বাড়ি তল্লাশি করা হয়েছে। চেষ্টা করেছে আমাকে মেরে ফেলার। ১৪ ডিসেম্বর তো একটুর জন্য বেঁচে যাই।'
1-g) "আমার সারাজীবনে অনেক জটিল প্রশ্নের উত্তর আমি পাই নজরুলের গানে।"------------ ফিরোজা বেগম
- - - - ( নজরুল গীতির প্রধান ও সর্বকালের অন্যতম সেরা শিল্পী ) - - - -
1-h) নজরুলগীতি এবং ফিরোজা বেগম ====>>
সেই সময়ের কথা বলতে বলতে গিয়ে তিনি (ফিরোজা বেগম ) বলেন, 'তখন বাংলা গানের স্বর্ণযুগ। কত নামীদামী শিল্পী চারপাশে। অথচ প্রতিযোগিতাও কম নয়। তা সত্ত্বেও আমি সহজে সফল হওয়ার সুযোগ হেলায় ঠেলে দিয়ে নজরুলগীতিকে বেছে নিয়েছি। নজরুলের গানে আমার এই সমর্পণের নেপথ্যের কোন রহস্য আমি আজও উদঘাটন করতে পারিনি। এখানে একটা কথা বলতে পারি, ছোটবেলা থেকেই আমার ভেতরে একটা কবি কবি ভাব কাজ করে আসছে। আমার উপলব্ধি সব সময়েই গভীর। কোন চটুল গানের জন্য আমি কখনোই উচাটন হইনি। আমি চেয়েছি জটিল থেকে জটিলতর সব সুরের সমাধান। এর বাইরে এই বিষয়টিকে এক দৈব নির্দেশিত ঘটনা হিসেবেও দেখি আমি। আমার মধ্যে এই গান নিয়ে কিছু করার দায়বদ্ধতা আপনা থেকেই তৈরি হয়েছে। ওঁর গানে অমূল্য যে মণিকাঞ্চণ তা সঙ্গীত পিপাসুদের কাছে পৌছে দেয়া প্রয়োজন বলে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছি। সেই ঐকান্তিক প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে আজও। আমার সারাজীবনে অনেক জটিল প্রশ্নের উত্তর আমি পাই নজরুলের গানে। এর সুর ও বাণী আমাকে সম্মোহিত করে রাখে অনির্বচনীয় এক ঐশ্বরিক অনুভূতিতে। এই গানের প্রতি আমার রয়েছে এক শিহর-লাগা অনুভব। সেই প্রথমবার নজরুল সঙ্গীত নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য আমাকে প্রচণ্ড কষ্ট দিয়েছে। তার চেয়েও বেশি কষ্ট আমি পেয়েছি এই আশির দশকে আমার দেশে সেই একই কথা শুনে। আমি কিন্তু কখনোই হাল ছাড়িনি। ওটা আমার ধাতে নেই। নজরুল সঙ্গীত নিয়েই আমি এগিয়েছি, এগিয়েই চলেছি।' - - -
1-i) নজরুলগীতি এবং ফিরোজা বেগম ====>>
নানা গানের ভিড়ে নিজেকে আলাদা করে নেয়ার এক তীব্র ইচ্ছা কাজ করত তাঁর মধ্যে। আর তা অন্য কোন গান নয়- নজরুলগীতি। এটা ছিল তাঁর কাছে এক চ্যালেঞ্জের মতো। তখন নজরুল সঙ্গীত বলা হতো না, বলা হতো আধুনিক গান লিখেছেন কাজী নজরুল ইসলাম। পরে সেটা থেকে নজরুলগীতি হয়। আর ফিরোজা বেগমের চেষ্টাতেই তা পায় নজরুলগীতির অভিধা। তিনিই অল ইন্ডিয়া রেডিওতে নজরুলের গানের অনুষ্ঠানকে বাধ্যতামূলক করেন। - - - LINK
1-j) ফিরোজা বেগমের জীবনে কাজী নজরুল ইসলাম =====>>
- - - - ওই ঘর থেকে বের হওয়ার পর আমার দুই চোখ ফেটে পানি ঝরছে। মামা-ভাইয়েরা কেন এখানে নিয়ে এলেন—এই অভিমানে। মামা আমার অবস্থা দেখে বললেন, ‘তুই যে বিরক্ত হচ্ছিস, তুই কি জানিস কার সামনে আজ গান করেছিস? ওই যে তোকে ডেকে পাশে বসালেন, তাঁর নাম হচ্ছে কাজী নজরুল ইসলাম।’
আমি কাঁদতে কাঁদতে বললাম, কোন কাজী নজরুল ইসলাম? ‘বল বীর’? (বাবার মুখে ‘বল বীর’ কবিতাটা অনেকবার শুনেছিলাম। ওই কবিতা দিয়েই কবির নামটি আমার কাছে পরিচিত।) পরে শুনেছিলাম, সেদিন আমি চলে আসার পর কাজী সাহেব মহড়াকক্ষে সবার উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘এই মেয়ে গান না শিখেই এত ভালো গায়। শেখালে না জানি কী গাইবে। আমি হয়তো সেদিন থাকব না, কিন্তু তোমরা দেখে নিয়ো, এই মেয়ে অনেক ভালো শিল্পী হবে। এই মেয়েকে গানের ব্যাপারে যা যা সাহায্য করতে হয় তোমরা করো।’ - - - - - -
1-k) ফিরোজা বেগম (১৯৩০ - ) ===>>
ফিরোজা বেগম ও কমল দাশগুপ্ত ১৯৫৭ সালে কলকাতা ছেড়ে ফিরে আসেন ঢাকায়। ভারত ও পাকিস্তান দুটি শত্রুভাবাপন্ন দেশ। তাই ভারতে ফিরোজা বেগমের সমস্যা, আবার ঢাকায় কমল দাশগুপ্তের সমস্যা। ঢাকায় দু’জনে ফিরে এসে বিভিন্ন বাধার মুখোমুখি হন। যেখানে দু’জনে যান, সেখানে মুখের ওপর দরজা বন্ধ হতে থাকে। দারিদ্র হয়ে দাঁড়ায় নিত্যসঙ্গী। ১৯৬৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত কমল দাশগুপ্তকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। এর মাঝেও ১৯৬০ এর দশকে নজরুল গীতির প্রবাহকে প্রায় একক চেষ্টায় ধরে রাখেন ও এগিয়ে নেন ফিরোজা বেগম। স্বাধীনতার পরও দারিদ্রের কষাঘাত অব্যাহত থাকে। ১৯৭৪ সালে, বাংলা সঙ্গীতের কিংবদন্তি কমল দাশগুপ্ত পরলোকগমন করেন, ফিরোজা বেগম তিন সন্তান (তাহসীন আহমেদ, হামিন আহমেদ ও শাফিন আহমেদ) কে নিয়ে জীবনযুদ্ধে একাকী হয়ে পরেন।
1-l) কাজী নজরুল ইসলাম, কমল দাশগুপ্ত ও সুবল দাশগুপ্ত ====>>
কাজী নজরুল ইসলাম, কমল দাশগুপ্ত ও সুবল দাশগুপ্ত একত্রে উচ্চাঙ্গ সংগীতের তালিম নিতেন খ্যাতিমান সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ জমির উদ্দীন খানের কাছ থেকে। সে অর্থে কাজী নজরুল ইসলাম ও কমল দাশগুপ্ত ছিলেন গুরুভাই। একই গুরুর শিষ্যত্বের কারণে তাঁদের মধ্যে শুধু সুন্দর বন্ধুত্ব নয়, তাঁদের সংগীত উপলব্ধির মধ্যেও একটা সাদৃশ্য সৃষ্টি করে। এ জন্যই কাজী নজরুল ইসলাম কেবল কমল দাশগুপ্তকেই দিয়েছিলেন অনুমোদন ছাড়াই তাঁর গানে সুর করার অধিকার। এই সুবাদে কমল দাশগুপ্ত, চার শতাধিক নজরুল গীতিতে সুরারোপ করেন, যার প্রায় সবই ফিরোজা বেগম কোন না কোন পরিসরে গেয়েছেন।1-m) ফিরোজা বেগম (১৯৩০ - ) ===>>
১৯৫১ সালে ঢাকা ছেড়ে আবার কলকাতায় চলে যান ফিরোজা বেগম। সে বছরই কমল দাশগুপ্তের সঙ্গে দেখা করে তার সুরে বেশকিছু গান করেন। এভাবেই তার সঙ্গীত গুরু হয়ে ওঠেন কমল দাশগুপ্ত। তিনি নজরুলের কথার সুর দিতেন আর ফিরোজা তা কণ্ঠে তুলে নিতেন। এভাবেই প্রনয় ও তারপর ১৯৫৬ সালে বিয়ে। ফিরোজা বেগমকে বিয়ে করে কমল দাশগুপ্ত ধর্মান্তরিত হয়ে ’কামাল উদ্দিন’ নাম ধারন করেন। - - - - - LINK
আর যারা ইতিহাস বিকৃতি করার চেষ্টা করতেছে, তারা ইতিহাসের
আস্তা কুঁড়েতে নিকৃষ্টভাবে নিক্ষিপ্ত হবে ।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
কার্টসীঃ Zubair Ahmed ভাই
সঠিক ইতিহাসের কিছু রেফারেন্স ...
১/ মেজর জিয়াকে ২৭ মার্চের সন্ধ্যায় দেখে উত্সাহ-উদ্দীপনায় ফেটে পড়ল বেতার কেন্দ্রের কর্মীরা। ঘণ্টা দেড়েক চেষ্টার পর তিনি তাঁর সেই ঐতিহাসিক ভাষণটি তৈরি করে নিজেই সেটি ইংরেজি ও বাংলায় পাঠ করেন। মেজর জিয়া ওই ভাষণে নিজেকে হেড অব দি স্টেট, অর্থাত্ রাষ্ট্রপ্রধান রূপেই ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তার পরের দিন আগের দেয়া বেতার ভাষণটির সংশোধন করে তিনি ঘোষণা দেন যে এই মুক্তিযুদ্ধ তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে।
-মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া
-মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস (ঢাকা, আহমদ পাবলিশিং হাউস, ১৯৭২)
-৪৩-৪৪ পৃষ্ঠা
২/ ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম বেতার থেকে একজন বাঙালি অফিসার মেজর জিয়ার কণ্ঠস্বর ভেসে আসে।এই ঘোষণার মাধ্যমে বাঙালি সেনা অফিসারগণ রাজনীতিক নেতাদের অসন্তুষ্ট করতে চাননি। অন্যদিকে ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণে জাতিকে দিকনির্দেশনা দেবার আবশ্যকতা ছিল।
-The Liberation of Bangladesh, Vol. 1 (Delhi : Lancer Publishers, 1980) -৯পৃষ্ঠা
-মেজর জেনারেল সুখান্ত সিং
৩/ ১৯৭৭ সালের ২৭ ডিসেম্বরে ভারতের রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সম্মানে আয়োজিত এক ভোজসভায় তাঁর প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে রাষ্ট্রপতি বলেন,
“ইতিমধ্যে আপনার দেশের ইতিহাসের পাতায় বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা ঘোষণাকারী ও সাহসী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনার সমুজ্জ্বল অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গেছে”
-Bangladesh in International Politics, Dhaka, UPL, 1993, P-96
-মুহম্মদ শামসুল হক
৪/ চট্টগ্রামের আট ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড মেজর জিয়াউর রহমান রেজিমেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং বেতার ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৭ মার্চে স্বাধীনতার ঘোষণা দান করেন। সেই ঘোষণা অনেকেই শুনেছেন। যারা নিজ কানে শোনেননি তারাও মুখে মুখে চারদিকে প্রচার করেন।
- লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেএফ আর জ্যাকব (JFR Jacob)
- Surrender At DACCA : Birth of a Nation
- (Dhaka, UPL, 1997): ৩৪ পৃষ্ঠা
৫/ চট্টগ্রামের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডার মেজর জিয়াউর রহমান (যিনি ১৯৭৬-৭৭ সময়কালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন) স্বল্পকালীন পরিসরে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র দখল করেন এবং সেই কেন্দ্র থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের ঘোষণা দান করেন। সেই ঘোষণায় তিনি বাংলার সকল সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পাকিস্তান বাহিনীকে প্রতিরোধের আহ্বান জানান।
শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রেফতার হওয়ার আগে রেকর্ড করা তাঁর ঘোষণার পূর্বেই জিয়াউর রহমানের ঘোষণা প্রচারিত হয় ("In fact, Ziaur Rahman's broadcast came a little earlier than Mujib's broadcast."-Ibid)।
- Liberation And Beyond : Indo-Bangladesh Relations,
- (Dhaka, UPL, 1999) ৪২ পৃষ্ঠা
-জে এন দীক্ষিত
বাংলাদেশে ভারতের প্রথম ডেপুটি হাইকমিশনার যিনি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন ===>> LINK
পাক হানাদার বাহিনীর অপারেশন সার্চলাইটের নীল নকশার প্রথম পৃষ্ঠা।
এই নকশা অনুসারে ২৫শে মার্চ রাতের আধাঁরে পাক হানাদার বাহিনী অতর্কিতে ঝাপিয়ে পড়ে স্বাধীনতাকামী নিরস্ত্র বাঙ্গালির উপর।
সুত্র: সংগ্রাম থেকে স্বাধীনতা (বাংলাদেশের স্বাধীনতার সচিত্র ইতিহাস(১২০৪-১৯৭১)
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
4) বঙ্গবন্ধুর রেকর্ড করা ভাষণ ===>>
শহীদ ইঞ্জিনিয়ার নুরুল হক সম্পর্কে আমাদের অনেকেই কিছু জানেন না। হয়তো এ কারণেই জানেন না যে তার সম্পর্কে বিস্তারিত প্রকাশ পেলে অনেক হাড়ি ভেঙে যাবে হাটে, যার অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। অত্যন্ত মেধাবী নুরুল হক ১৯৭১ সালে ছিলেন টিএন্ডটি বোর্ডের চিফ ইঞ্জিনিয়ার। বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে তিনি একটি রেডিও ট্রান্সমিটার যোগাড় করেছিলেন। ২৫ মার্চ রাতে বলদা গার্ডেন (এটা কোড নেম, আসলে ট্রান্সমিটারটি টিঅ্যান্ডটিতেই বসানো হয়েছিলো) থেকে বঙ্গবন্ধুর রেকর্ড করা ভাষণ প্রচার করেন তিনি। ২৭ মার্চ তার বাড়িতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী হানা দেয়। গোপন সূত্রে তারা খবর জেনেছিলো। নুরুল হকের বাড়ির দেয়াল ভেঙে বের করা হয় সেই ট্রান্সমিটার এবং আনুষঙ্গিক কিছু জিনিসপত্র যা তাদের চোখে চরম রাষ্ট্রদোহিতা। এরপর তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। আর হদিস মেলেনি। না লাশ, না কংকাল।
তথ্যসূত্র: জন্মযুদ্দ ৭১ LINK
২৬ মার্চের প্রথম প্রহরেই (২৫ মার্চ অতিক্রান্ত হওয়ার পর রাত ১২:২০ মিনিট) বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণাটি ওয়্যারিলেসে দিল্লি ও কলকাতায় পৌছে যায়।
Banner headline of Daily Amrita Bazar Patrika March 27, 1971. In the early hours of March 26 (12:20 a.m.) the declaration of independence from Bangabandhu reached Delhi and Kolkata via wireless.
তথ্যসূত্র: জন্মযুদ্ধ ৭১
1-n) 'কামাল উদ্দিন' ===>
ফিরোজা বেগমকে বিয়ে করে কমল দাশগুপ্ত ধর্মান্তরিত হয়ে ’কামাল উদ্দিন’ নাম ধারন করেন। ( ১৯৫৬ )
2) স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস সবার জানা উচিত /
আর যারা ইতিহাস বিকৃতি করার চেষ্টা করতেছে, তারা ইতিহাসেরআস্তা কুঁড়েতে নিকৃষ্টভাবে নিক্ষিপ্ত হবে ।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
কার্টসীঃ Zubair Ahmed ভাই
সঠিক ইতিহাসের কিছু রেফারেন্স ...
১/ মেজর জিয়াকে ২৭ মার্চের সন্ধ্যায় দেখে উত্সাহ-উদ্দীপনায় ফেটে পড়ল বেতার কেন্দ্রের কর্মীরা। ঘণ্টা দেড়েক চেষ্টার পর তিনি তাঁর সেই ঐতিহাসিক ভাষণটি তৈরি করে নিজেই সেটি ইংরেজি ও বাংলায় পাঠ করেন। মেজর জিয়া ওই ভাষণে নিজেকে হেড অব দি স্টেট, অর্থাত্ রাষ্ট্রপ্রধান রূপেই ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তার পরের দিন আগের দেয়া বেতার ভাষণটির সংশোধন করে তিনি ঘোষণা দেন যে এই মুক্তিযুদ্ধ তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে।
-মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া
-মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস (ঢাকা, আহমদ পাবলিশিং হাউস, ১৯৭২)
-৪৩-৪৪ পৃষ্ঠা
২/ ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম বেতার থেকে একজন বাঙালি অফিসার মেজর জিয়ার কণ্ঠস্বর ভেসে আসে।এই ঘোষণার মাধ্যমে বাঙালি সেনা অফিসারগণ রাজনীতিক নেতাদের অসন্তুষ্ট করতে চাননি। অন্যদিকে ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণে জাতিকে দিকনির্দেশনা দেবার আবশ্যকতা ছিল।
-The Liberation of Bangladesh, Vol. 1 (Delhi : Lancer Publishers, 1980) -৯পৃষ্ঠা
-মেজর জেনারেল সুখান্ত সিং
৩/ ১৯৭৭ সালের ২৭ ডিসেম্বরে ভারতের রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সম্মানে আয়োজিত এক ভোজসভায় তাঁর প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে রাষ্ট্রপতি বলেন,
“ইতিমধ্যে আপনার দেশের ইতিহাসের পাতায় বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা ঘোষণাকারী ও সাহসী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনার সমুজ্জ্বল অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গেছে”
-Bangladesh in International Politics, Dhaka, UPL, 1993, P-96
-মুহম্মদ শামসুল হক
৪/ চট্টগ্রামের আট ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড মেজর জিয়াউর রহমান রেজিমেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং বেতার ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৭ মার্চে স্বাধীনতার ঘোষণা দান করেন। সেই ঘোষণা অনেকেই শুনেছেন। যারা নিজ কানে শোনেননি তারাও মুখে মুখে চারদিকে প্রচার করেন।
- লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেএফ আর জ্যাকব (JFR Jacob)
- Surrender At DACCA : Birth of a Nation
- (Dhaka, UPL, 1997): ৩৪ পৃষ্ঠা
৫/ চট্টগ্রামের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডার মেজর জিয়াউর রহমান (যিনি ১৯৭৬-৭৭ সময়কালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন) স্বল্পকালীন পরিসরে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র দখল করেন এবং সেই কেন্দ্র থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের ঘোষণা দান করেন। সেই ঘোষণায় তিনি বাংলার সকল সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পাকিস্তান বাহিনীকে প্রতিরোধের আহ্বান জানান।
শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রেফতার হওয়ার আগে রেকর্ড করা তাঁর ঘোষণার পূর্বেই জিয়াউর রহমানের ঘোষণা প্রচারিত হয় ("In fact, Ziaur Rahman's broadcast came a little earlier than Mujib's broadcast."-Ibid)।
- Liberation And Beyond : Indo-Bangladesh Relations,
- (Dhaka, UPL, 1999) ৪২ পৃষ্ঠা
-জে এন দীক্ষিত
বাংলাদেশে ভারতের প্রথম ডেপুটি হাইকমিশনার যিনি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন ===>> LINK
3) ২৫ মার্চ ১৯৭১:
পাক হানাদার বাহিনীর অপারেশন সার্চলাইটের নীল নকশার প্রথম পৃষ্ঠা।
এই নকশা অনুসারে ২৫শে মার্চ রাতের আধাঁরে পাক হানাদার বাহিনী অতর্কিতে ঝাপিয়ে পড়ে স্বাধীনতাকামী নিরস্ত্র বাঙ্গালির উপর।
সুত্র: সংগ্রাম থেকে স্বাধীনতা (বাংলাদেশের স্বাধীনতার সচিত্র ইতিহাস(১২০৪-১৯৭১)
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
4) বঙ্গবন্ধুর রেকর্ড করা ভাষণ ===>>
শহীদ ইঞ্জিনিয়ার নুরুল হক সম্পর্কে আমাদের অনেকেই কিছু জানেন না। হয়তো এ কারণেই জানেন না যে তার সম্পর্কে বিস্তারিত প্রকাশ পেলে অনেক হাড়ি ভেঙে যাবে হাটে, যার অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। অত্যন্ত মেধাবী নুরুল হক ১৯৭১ সালে ছিলেন টিএন্ডটি বোর্ডের চিফ ইঞ্জিনিয়ার। বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে তিনি একটি রেডিও ট্রান্সমিটার যোগাড় করেছিলেন। ২৫ মার্চ রাতে বলদা গার্ডেন (এটা কোড নেম, আসলে ট্রান্সমিটারটি টিঅ্যান্ডটিতেই বসানো হয়েছিলো) থেকে বঙ্গবন্ধুর রেকর্ড করা ভাষণ প্রচার করেন তিনি। ২৭ মার্চ তার বাড়িতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী হানা দেয়। গোপন সূত্রে তারা খবর জেনেছিলো। নুরুল হকের বাড়ির দেয়াল ভেঙে বের করা হয় সেই ট্রান্সমিটার এবং আনুষঙ্গিক কিছু জিনিসপত্র যা তাদের চোখে চরম রাষ্ট্রদোহিতা। এরপর তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। আর হদিস মেলেনি। না লাশ, না কংকাল।তথ্যসূত্র: জন্মযুদ্দ ৭১ LINK
5) ২৭ মার্চ দৈনিক অমৃত বাজার পত্রিকা’র ব্যানার হেডলাইন।
Banner headline of Daily Amrita Bazar Patrika March 27, 1971. In the early hours of March 26 (12:20 a.m.) the declaration of independence from Bangabandhu reached Delhi and Kolkata via wireless.
6) বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তার হাতে লেখা মুল কপি...
তথ্যসূত্র: জন্মযুদ্ধ ৭১
7) বাংলা ও বাঙ্গালির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীনতার মহানায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাতে ধানমন্ডির বাড়ি থেকে গ্রেফতারের পূর্বে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
বঙ্গবন্ধুর সেই ঘোষণা:
“This may be my last message; from today Bangladesh is independent. I call upon the people of Bangladesh wherever you might be and with whatever you have, to resist the army of occupation to the last. Your fight must go on until the last soldier of the Pakistan occupation army is expelled from the soil of Bangladesh and final victory is achieved."
“এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। বাংলাদেশের জনগণ, তোমরা যে যেখানেই আছ এবং যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শেষ পর্যন্ত দখলদার সৈন্য বাহিনীকে প্রতিরোধ করার জন্য আমি তোমাদের আহবান জানাচ্ছি। পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলাদেশের মাটি থেকে বিতাড়িত করে চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তোমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।”
বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণা বাংলাদেশের সর্বত্র ওয়্যারলেস, টেলিফোন ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে প্রেরিত হয়।
8) ভয়াল ২৫ শের প্রথম শিশু শহীদঃ
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম '৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের টুকরো টুকরো এক একটি জ্যোতির্ময় মুহূর্ত। হঠাৎ একটি আলোকচিত্রের সামনে এসে থমকে দাঁড়াই।
ছোট্ট একটি নিষ্পাপ মুখ। পড়ে আছে নিথর দেহ।
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রথম শিশু শহীদ বুদ্ধদেব সূর।'
কার্টেসীঃ সমকাল ।
সংগ্রহঃ কাব্যপ্রেমী রিফাত ।
"এদেশে নব্য রাজাকারদের চিহ্নিত করতে হবে। যাদের দ্বারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে,যারা স্বাধীন বাংলাদেশের ক্ষতি করছে তারাই নব্য স্বাধীনতা বিরোধীঃ
১নং-যারা ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করছে যেমন-হলমার্ক সহ...
এ মর্মে আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ “বল, আমার রব তোমাদের কোন পরোয়া করবেন না যদি তোমরা ‘দু’আ না কর।” (সূরা আল-ফুরকান ২৫/৭৭) তাফসীরে দু’আর অর্থ করা হয়েছে- “ঈমান”।
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিসের মানঃ সহিহ
হাদিসের মানঃ সহিহ
উত্তর কোরিয়ার সরকারপ্রধান তার দেশের সব পুরুষকে তার হেয়ার স্টাইল অনুসরণ করে ঠিক একইরকম করে চুল কাটার আদেশ দিয়েছেন।
9) মহাসাগরের মহা শক্তি - - - - - - !!!
10) এদেশে নব্য রাজাকারদের চিহ্নিত করতে হবে। ===>>
"এদেশে নব্য রাজাকারদের চিহ্নিত করতে হবে। যাদের দ্বারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে,যারা স্বাধীন বাংলাদেশের ক্ষতি করছে তারাই নব্য স্বাধীনতা বিরোধীঃ
১নং-যারা ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করছে যেমন-হলমার্ক সহ...
২নং- যারা হাজার হাজার কোটি টাকা লোন খেলাপী করেছে লোন পরিশোধের কোন ইচ্ছাই নেই ।
৩নং-দুর্নীতিগ্রস্থ মন্ত্রী,এমপি,সরকারী কর্মকর্তা,রাজনীতিক,এনজিও কর্তাব্যাক্তি।
৪নং ভেজাল,প্রতারনা,রাজস্ব ফাকি দিয়ে যারা ছোট বড় ব্যবসা করছে ।
৫নং- অপহরণ,খুন,গুম,ধর্ষণকারী,করছে যারা টেন্ডার বাজি ।
৬নং-যারা দেশী মুদ্রা ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাঁচার করছে ।
এর যাদের দ্বারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে,যারা স্বাধীন বাংলাদেশের ক্ষতি করছে ।এরা নব্য রাজাকার,এরা যে ধর্মেরই হোক,যে দলেরই হোক এদেরও বিচার করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে আর্ন্তজাতিক রাজনীতি ও ভৌগলিক কারনে স্বাধীন বাংলাদেশকে আর পাকিস্তানের সংগে যুক্ত করতে পারবে না কেউ কোন দিন । মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী দেশ ভারত যেভাবে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা দখল করছে,হত্যা নির্যাতন করছে,ট্রানজিট ও বাণিজ্য সুবিধা গ্রহন করছে,নগ্নতা,যৌনতা, অশালীন সংস্কৃতি যা আমাদের মুল্যবোধকে অধপতিত,বিকৃতি করছে.সেই ভারতের কাছেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। স্বাধীনতা বিরোধী তো সেই যে বাংলাদেশের স্বাধীতা নিজ স্বার্থে ভীন দেশিদের হাতে তুলে দেয় বিভিন্ন ভাবে । যদি ঐ সব শহীদের বেঁচে থাকত তো বর্তমান সরকারের অবস্থা দেখে হায় হায় করত । এ কেমন স্বাধীনতা পেয়েছি আমরা ।" ----- Sk Mahdi
11) VVI ===>>
তোমাদের দু’আ তোমাদের ঈমান। - - -
এ মর্মে আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ “বল, আমার রব তোমাদের কোন পরোয়া করবেন না যদি তোমরা ‘দু’আ না কর।” (সূরা আল-ফুরকান ২৫/৭৭) তাফসীরে দু’আর অর্থ করা হয়েছে- “ঈমান”।
12) লজ্জা ====>>
ঈমানের বিষয়সমূহ
আবূ হুরাইয়রা (রা) থেকে বর্ণিত, নাবী ﷺ বলেছেনঃ ঈমানের ষাটেরও বেশী শাখা রয়েছে। আর লজ্জা হচ্ছে ঈমানের একটি শাখা। (গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ), অধ্যায়ঃ [২] ঈমান (বিশ্বাস), হাদিস নাম্বারঃ ৯)
(মুসলিম ১/১২, হাঃ ৩৫, আহমাদ ৯৩৭২) (আঃপ্রঃ ৮, ইফাঃ ৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ
13) খাদ্য খাওয়ানো ইসলামের অন্তর্ভুক্ত।
আবদুল্লাহ ইব্নু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ এক ব্যক্তি রাসূল ﷺ কে জিজ্ঞাসা করল,ইসলামে কোন্ কাজটি উত্তম? তিনি বললেন, তুমি খাদ্য খাওয়াবে এবং পরিচিত অপরিচিত নির্বিশেষে সকলকে সালাম দিবে। (গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ), অধ্যায়ঃ [২] ঈমান (বিশ্বাস), হাদিস নাম্বারঃ ১২)
(২৮,৬২৩৬; মুসলিম ১/১৪ হাঃ ৪২, আহমাদ ৬৭৬৫) (আঃপ্রঃ ১১, ইফা-১১)
হাদিসের মানঃ সহিহ
14) ইসলামে কোন্ কাজটি সর্বোত্তম।
আবু মুসা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, তাঁরা (সাহাবায়ে কিরাম) নাবী ﷺ-কে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! ইসলামে কোন কাজটি সর্বোত্তম? তিনি বললেন “ যার জিহবা ও হাত থেকে মুসলিমগণ নিরাপদ থাকে। (গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ), অধ্যায়ঃ [২] ঈমান (বিশ্বাস), হাদিস নাম্বারঃ ১১)
(মুসলিম ১/১৪, হাঃ৪২, আহমাদ ৬৭৬৫) (আঃপ্রঃ ১০, ইফাঃ ১০)
হাদিসের মানঃ সহিহ
15) সাম্যবাদী একনায়কতন্ত্র ===>>
উত্তর কোরিয়ার সরকারপ্রধান তার দেশের সব পুরুষকে তার হেয়ার স্টাইল অনুসরণ করে ঠিক একইরকম করে চুল কাটার আদেশ দিয়েছেন।
16) আমরা সাংবাদিকেরা একটু রূঢ় প্রকৃতির হয়ে থাকি। আমাদের সঙ্গে তর্ক করা কিংবা আমাদের কোনো কিছু বোঝানো যেমন একটু কঠিন, তেমনি যেকোনো কিছু বুঝিয়ে আমাদের সন্তুষ্ট করা আরো বেশি কঠিন। বিশেষ করে যখন কোনো বিষয়ে বিন্দুমাত্র প্রচারণার আভাস থাকে, তখন আমাদের চরিত্রের ‘অনুসন্ধিৎসু’ দিকটি আরো খানিকটা প্রখর হয়ে ওঠে। ------- মাহফুজ আনাম
17) টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিসার্সের হিসাবে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে মারা গেছে ২ লাখ ৬৯ হাজার মানুষ।
http://timesofindia.indiatimes.com/world/rest-of-world/269000-people-died-in-Bangladesh-war-says-new-study/articleshow/3147513.cms
19) স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ এবং স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা
No comments:
Post a Comment